< 1 >
Read!
In the Name of ALLAH, Who has created man from a clot (a piece of thick coagulated blood).
< 2 >
Al-Islami
In the Name of ALLAH, Who has created man from a clot (a piece of thick coagulated blood).
< 3 >
Al-Islami
In the Name of ALLAH, Who has created man from a clot (a piece of thick coagulated blood).
< 4 >
Al-Islami
In the Name of ALLAH, Who has created man from a clot (a piece of thick coagulated blood).

Sunday, October 13, 2024

ইসলামের মূলনীতি: শান্তি, আনুগত্য এবং মানবতার পথ

 


ইসলামের মূলনীতি: শান্তি, আনুগত্য এবং মানবতার পথ


ইসলাম, বিশ্বের প্রধান ধর্মগুলির একটি, শুধুমাত্র আধ্যাত্মিকতার উপর ভিত্তি করে নয়, বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা হিসেবে মানুষকে পথপ্রদর্শন করে। 'ইসলাম' শব্দটি এসেছে আরবি শব্দ 'সালাম' থেকে, যার অর্থ শান্তি। এই শান্তির মূল হলো আল্লাহর প্রতি পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণ। ইসলাম এমন একটি ধর্ম যা মানুষকে আল্লাহর নির্দেশ অনুসারে জীবন পরিচালনা করতে উৎসাহিত করে এবং মানবতার কল্যাণের জন্য কাজ করতে শেখায়। আরও পড়ুন


ইসলামের অর্থ এবং মূল ধারণা


ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা যা আল্লাহর আদেশ মানা এবং তার ইচ্ছা অনুযায়ী জীবন যাপনকে কেন্দ্র করে। "মুসলিম" শব্দটির অর্থ হল সেই ব্যক্তি, যে আল্লাহর আদেশের প্রতি আত্মসমর্পণ করেছে। এই আত্মসমর্পণ কেবল ইবাদতের মাধ্যমে নয়, বরং প্রতিটি জীবনের ক্ষেত্রে আল্লাহর নির্দেশ মেনে চলা এবং একে শান্তি ও ন্যায়বিচারের সাথে পালন করা।


ইসলামের মূলধারা হলো তাওহিদ (একত্ববাদ), অর্থাৎ আল্লাহ এক এবং অদ্বিতীয়। ইসলামে বিশ্বাস করা হয় যে মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর শেষ নবী এবং তার মাধ্যমে কুরআনের মাধ্যমে আল্লাহর চূড়ান্ত বার্তা পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে। এই বার্তা মানবতার জন্য একটি পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করে, যা জীবনযাত্রার প্রতিটি ক্ষেত্রে নির্দেশনা দেয়। আরও পড়ুন


ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ: ধার্মিকতার ভিত্তি


ইসলামের মৌলিক কর্ম এবং বিশ্বাসের ভিত্তি হল পাঁচটি স্তম্ভ। এই স্তম্ভগুলো মুসলিমদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ, যা আল্লাহর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে এবং তাদের আত্মিক উন্নতির পথে পরিচালিত করে। আরও পড়ুন


1. শাহাদা (বিশ্বাস)  

   শাহাদা বা কালেমা ইসলামের বিশ্বাসের মূল ভিত্তি। এটি ঘোষণা করে, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ” অর্থাৎ, "আল্লাহ ছাড়া আর কোনো মাবুদ নেই, এবং মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল"। এটি ইসলামের প্রথম এবং প্রধান স্তম্ভ, যার দ্বারা একজন মানুষ ইসলাম ধর্মে প্রবেশ করে।


2. সালাত (নামাজ)

   প্রতিদিন পাঁচবার নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা মুসলিমদের ওপর ফরজ। এই নামাজ আল্লাহর সাথে সংযোগ স্থাপনের একটি মাধ্যম এবং জীবনকে আল্লাহর স্মরণে পূর্ণ রাখার সুযোগ দেয়। এটি মানুষকে আত্মনিয়ন্ত্রণ, শৃঙ্খলা এবং মনোযোগী হতে সহায়তা করে।


3. যাকাত (দান)  

   যাকাত ইসলামে একটি বাধ্যতামূলক দান যা সম্পদের উপর নির্ধারিত একটি অংশ গরিব এবং দুঃস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এটি সম্পদের পবিত্রতা রক্ষা করে এবং সমাজে অর্থনৈতিক সাম্যতা প্রতিষ্ঠা করে। যাকাতের মাধ্যমে সমাজে দরিদ্রদের সহযোগিতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়।


4. সাওম (রোজা)  

   রমজান মাসে রোজা রাখা ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। মুসলিমরা এই মাসে ভোর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস থেকে বিরত থাকে। এটি আত্মনিয়ন্ত্রণ ও সংযমের শিক্ষা দেয় এবং মানুষের প্রতি সহানুভূতির অনুশীলন করায় উৎসাহিত করে।


5. হজ (তীর্থযাত্রা) 

   হজ হচ্ছে সেই তীর্থযাত্রা যা প্রতিটি সামর্থ্যবান মুসলিমের জীবনে অন্তত একবার পালন করতে হয়। এটি ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের প্রতীক। হজ মুসলিমদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব, সমতা এবং আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্যের প্রতীক।


কুরআন: আল্লাহর চূড়ান্ত বার্তা


কুরআন হল ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ, যা আল্লাহর কাছ থেকে নবী মুহাম্মদ (সা.) এর উপর অবতীর্ণ হয়েছে। এটি মানবতার জন্য একটি চূড়ান্ত নির্দেশিকা এবং মুসলিমদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে দিকনির্দেশনা প্রদান করে। কুরআন শুধুমাত্র ধর্মীয় উপদেশ নয়, বরং এটি নৈতিকতা, সামাজিক ন্যায়বিচার, এবং আল্লাহর প্রতি দায়িত্বের উপর জোর দেয়।


মুসলিমরা বিশ্বাস করে যে কুরআন মানবজাতির জন্য একটি চূড়ান্ত এবং সর্বজনীন বার্তা, যা কেবল আধ্যাত্মিক বিষয়গুলিতে নয়, বরং বুদ্ধিবৃত্তিক এবং সামাজিক বিষয়গুলিতেও দিকনির্দেশনা প্রদান করে।


নবী মুহাম্মদ (সা.) এর ভূমিকা


নবী মুহাম্মদ (সা.) ইসলামের চূড়ান্ত এবং সর্বশেষ নবী। ইসলামে তিনি আল্লাহর শেষ রাসূল হিসেবে পরিচিত এবং তার জীবন মুসলিমদের জন্য একটি আদর্শ। মুহাম্মদ (সা.) এর জীবন এবং তার সুন্নাহ মুসলিমদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পথপ্রদর্শন করে। তার সহানুভূতি, দয়া, ন্যায়বিচার এবং মানবতাবাদ মুসলিমদের অনুপ্রাণিত করে। আরও পড়ুন


ইসলামের মূল্যবোধ ও নৈতিকতা


ইসলামের ভিত্তি হল ন্যায়বিচার, সহমর্মিতা, দয়া, সততা এবং পরস্পরের প্রতি সম্মান। এই নৈতিক মূল্যবোধগুলো একটি সমাজে শান্তি এবং সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য অপরিহার্য।


ন্যায়বিচার: ইসলামে ন্যায়বিচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সমাজে প্রতিটি মানুষের অধিকার সংরক্ষণ এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা আল্লাহর আদেশ। আরও পড়ুন

দয়া এবং সহানুভূতি: আল্লাহর প্রধান গুণাবলী হলো দয়া এবং সহানুভূতি। মুসলিমদের আদেশ দেওয়া হয়েছে দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে এবং তাদের সাহায্য করতে। আরও পড়ুন

বৈচিত্র্যের প্রতি সম্মান: ইসলাম বিশ্বাস করে যে বৈচিত্র্য আল্লাহর সৃষ্টির নিদর্শন। বিভিন্ন জাতি ও সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য এবং সহমর্মিতা ইসলাম শিক্ষা দেয়। আরও পড়ুন

সংযম: ইসলাম জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মধ্যপন্থার শিক্ষা দেয়। চরমপন্থা ইসলাম কর্তৃক নিষিদ্ধ এবং সংযমিত জীবন যাপন ইসলামিক নীতি অনুযায়ী প্রচারিত। আরও পড়ুন


ইসলাম ও শান্তি


ইসলাম শব্দের অর্থই শান্তি। ইসলাম মানুষকে আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আত্মসমর্পণের মাধ্যমে শান্তি অর্জন করতে শেখায়। আল্লাহর আদেশ মানা এবং দুনিয়াতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে মুসলিমরা শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জনের চেষ্টা করে।


উপসংহার


ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা যা আল্লাহর প্রতি আনুগত্য, ন্যায়বিচার এবং সহানুভূতির মাধ্যমে মানুষের আত্মিক ও সামাজিক উন্নয়নের পথে পরিচালিত করে। ইসলামের মূল শিক্ষা হলো শান্তি এবং আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা। কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে একজন মুসলিম একটি নৈতিক ও সুশৃঙ্খল জীবন গঠন করতে পারে, যা তার নিজের এবং সমাজের কল্যাণে সহায়ক।


ইসলাম তার অনুসারীদের জন্য শান্তি, ন্যায় এবং মানবতার এক সুনির্দিষ্ট পথ নির্দেশ করে, যা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে পরিচালিত হয়।

Tuesday, October 8, 2024

১০০ টি সেরা ইসলামিক উক্তি

 


১/ আপনার দুর্বলতাকে শক্তিতে পরিণত করার ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহ্ তা'আলা-ই রাখেন। তাই তাঁর কাছেই প্রার্থনা করুন। -[ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত 


২/ নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলা তাঁকে নিরবে ডেকে যাওয়া বান্দাদের হতাশ করেন না। -[ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত


৩/ কখনো কখনো মানুষ আপনাকে বয়কট করবে, দূরে সরিয়ে দিবে, তবে এগুলোকে পার্সোনালি নিয়ে ভেঙ্গে পড়বেন না। কারণ আল্লাহ সুবহানাহু তা'আলা হয়তো ওদের দিক থেকে দূরে সরিয়ে তাঁর নিজের দিকেই আপনাকে ডাকছেন। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত


৪/ কথা বলা যদি রূপা হয় তবে নীরব থাকা হচ্ছে সোনা। - [লুকমান (আ:)] বিস্তারিত


৫/ আল্লাহর কাছে আপনি প্রার্থনা করা বন্ধ করে দিলে তিনি রাগান্বিত হন। অথচ আদম সন্তানের কাছে কিছু প্রার্থনা করলে সে রেগে যায়। - [ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ)] বিস্তারিত


৬/ যে বিষয়ে মনে খটকা লাগে সে বিষয়টা যতোটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত


৭/ এমন কারো সঙ্গী হোন যে আপনাকে আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত


৮/ যদি কেউ আপনার প্রভুর আনুগত্য পছন্দ না করে তবে আপনারও তাকে পছন্দ করার কোন যুক্তি নেই। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত


৯/ যখন পৃথিবীর কেউ আপনাকে বুঝতে চেষ্টা করে না, তখন এতটুকু মনে রাখুন আল্লাহ্ আপনাকে বুঝেন। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত


১০/ নিজেকে দুশ্চিন্তামুক্ত রাখতে প্রতিটা বিষয়ে আল্লাহর উপর ভরসা করুন। কেননা আপনার জন্য কোনটি কল্যাণকর তা তিনিই ভালো জানেন। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত


১১/ যখন আপনি কুরআন তিলাওয়াত করেন তখন মনে করবেন আপনি আল্লাহর সাথে কথোপকথন করছেন এবং তিনি সরাসরি আপনাকে বলছেন। - [ইমাম ইবনুল কায়্যিম (রহ)] বিস্তারিত


১২/ আপনি যদি চান আল্লাহ্ আপনার সবগুলো পছন্দনীয় কাজ গ্রহণ করুন, তাহলে আপনি আল্লাহর পছন্দনীয় কাজগুলোই করতে থাকুন। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত


১৩/ দ্বীন ও দুনিয়া একসাথে অর্জন করতে কুরআন ও সুন্নাহ্ ব্যতীত অন্য কোন পথ নেই। যদিও মনে হবে দুনিয়া অপূর্ণই থেকে যাচ্ছে।  - [ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত

১৪/ অন্যকে দাওয়াত দিতে গিয়ে নিজেকে ভুলে যাবেন না। কারণ পরিবর্তন নিজেকে দিয়েই শুরু করতে হয়। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত


১৫/ মানুষের খারাপ দিক খোঁজা বন্ধ করুন৷ তাদের ভুলগুলো সহজভাবে গ্রহণ করুন৷ তাদের সাথে ধৈর্যশীল হোন৷ পরিষ্কার একটি হৃদয়ের জন্য সংগ্রাম করুন এবং তাদের ভেতরের ভালটা দেখুন৷ - [শাইখ মুফতি ইসমাইল মেঙ্ক] বিস্তারিত


১৬/ সর্বশক্তিমান কখনোই ঐ ব্যক্তির ভুল প্রকাশ করবেন না যে মানুষের সম্পর্কে খারাপ কথা বলা থেকে বিরত থাকে। তাই অন্যের পাপ প্রকাশ করা বন্ধ করুন। -[শাইখ মুফতি ইসমাইল মেঙ্ক] বিস্তারিত


১৭/ আমাদের জীবনে করা বড় ভুল কখনও কখনও আমাদেরকে পরিবর্তন করে দেয় সবচেয়ে ভালো মানুষে। - [শাইখ মুফতি ইসমাইল মেঙ্ক] বিস্তারিত


১৮/ মাঝে মাঝে দুঃখের দ্বারা আমারা এমনভাবে দগ্ধ হই যে আমারা ভুলেই যাই এমন অনেক বিষয়, যা আমাদের সুখী করতে পারে। কিছু সময় নিয়ে সেগুলো সম্পর্কে চিন্তা করুন। -[শাইখ মুফতি ইসমাইল মেঙ্ক] বিস্তারিত


১৯/ সন্ত্রাসবাদ কখনোই কোন ধর্মীয় অধিকার নয়। আর ইসলাম সবসময়ই সাধারণ মানুষ হত্যাকে ঘৃণা করে। তাই কেউ চাইলেই এসব হত্যাকান্ডকে ইসলামাইজ করতে পারে না। -[ডা. জাকির নায়িক] বিস্তারিত


২০/ আপনার পাপগুলো আল্লাহর দয়া থেকে বড় নয়। -[ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত

২১/ আপনি যদি আপনার মূল্য সঠিকভাবে বুঝতেন, তাহলে কখনো ইচ্ছাকৃতভাবে পাপ কর্মে লিপ্ত হতেন না । - [ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত


২২/ সত্যিকার বন্ধুরাই জান্নাতে (একে অপরের) প্রতিবেশী হতে চায়। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত


২৩/ সে কী পেলো যে আল্লাহকে হারালো ? সে কী হারালো যে আল্লাহকে পেলো? - [ইবনু আতা’আল্লাহ আল ইসকান্দারি (রাহিমাহুল্লাহ)] বিস্তারিত

২৪/ আপনি যদি ইসলামকে চর্চা না করেন, দয়াকরে ইসলাম সম্পর্কে কিছু বলতে আসবেন না! -[ডা: জাকির নায়িক] বিস্তারিত


২৫/ যদি শরীর প্রদর্শনই (বেপর্দাই) হয় আধুনিকতা, তাহলে পশুরাই সবচেয়ে বেশি আধুনিক! -[ডা: জাকির নায়িক] বিস্তারিত


২৬/ নারী-পুরুষের জৈবিক ভালোবাসাকে প্রমোট করতে হয় না। এটা এমনিতেই (সৃষ্টিগতভাবে) প্রমোটেড। এটাকে বরং কন্ট্রোল করতে হয়। - [ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রাহিমাহুল্লাহ)] বিস্তারিতবিস্তারিত

 

২৭/ সেক্যুলাররা যৌনতাকে প্রমোট করে, আর ইসলাম কন্ট্রোল করতে বলে। উভয়টার ফল ও পরিণতি সবার সামনে পরিস্কার। - [শাইখ আহমাদুল্লাহ] বিস্তারিত


২৮/ লোকের প্রশংসায় আনন্দিত হতে এবং লোকের নিন্দায় দুঃখিত হতে আপনার অন্তরকে প্রশ্রয় দেবেন না। - [ইমাম আবু হামিদ আল-গাজ্জালী (রাহিমাহুল্লাহ)] বিস্তারিত

২৯/ কখনো কখনো আল্লাহ তা'আলা আমাদের ভোগান্তিতে ফেলেন শুধু এজন্যই যে আমরা যেন তাকে স্মরণ করি। -[ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত

৩০/ আল্লাহকে ভয় করো, কেননা যে তাকে ভয় করে সে কখনো একাকীত্ব অনুভব করে না। – [উমার ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু)] বিস্তারিত

৩১/ আল্লাহর প্রতি আপনার ভালোবাসা যতই বৃদ্ধি পেতে থাকবে, দুনিয়ার প্রতি আপনার ভালোবাসা ততোই কমতে থাকবে। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত

৩২/ তারা আমাদের ভাই-বোনদের মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে দমিয়ে রাখতে চায়, অথচ আমাদের পেছনে রয়েছে বদর, খন্দক, তাবুকের মতো শত শত স্মৃতি। - [কবি আল মাহমুদ] বিস্তারিত


৩৩/ দুনিয়া অর্জন নয়, দুনিয়া বিমুখীতাতেই রয়েছে দেহ ও মনের প্রশান্তি। - [উমার ইবনুল খাত্তাব (রা)] বিস্তারিত


৩৪/ সেই ব্যক্তিই অভিশপ্ত যে মরে যায় অথচ তার খারাপ কাজগুলো পৃথিবীতে রয়ে যায়। — [আবু বকর (রাদিয়াল্লাহু আনহু)]বিস্তারিত


৩৫/ যে বিপদ-আপদ ও মুসিবত আপনাকে আল্লাহর দিকে ফিরিয়ে দেয়, তা সেই রাহমাতের চাইতে উত্তম যা আপনাকে আল্লাহর স্মরণ থেকে বিমুখ করে দেয়। -[ ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ)] বিস্তারিত


৩৬/ যখন তুমি দেখবে, নামাজের মধ্যে তোমার অন্তর উপস্থিত থাকছে না, তখন বুঝে নেবে, এটা ইমানের দূর্বলতার কারণ। কঠোর পরিশ্রম করো নিজের ঈমানকে মজবুত করার জন্য। -[ইমাম ইবনু কুদামাহ আল মাকদিসি (রহ.)] বিস্তারিত


৩৭/ আসক্তের মতো ভালবাসবেন না, ধ্বংসাত্মকভাবে কাউকে ঘৃণা করবেন না। - [উমার ইবনুল খাত্তাব ( রাঃ)] বিস্তারিত


৩৮/ এমন দু’টি নিয়ামত আছে, যে দু’টোতে অধিকাংশ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। তা হচ্ছে, সুস্থতা আর অবসর। - [মুহাম্মাদ (সা)] বিস্তারিত


৩৯/ পৃথিবীর জীবনটা তিনটি দিনের– গতকালের দিনটিতে যা করা হয়েছে সেগুলো নিয়ে সেটি চলে গেছে; আগামীকালের দিনটিতে হয়ত আপনি না-ও পৌছতে পারেন; কিন্তু আজকের দিনটি আপনার জন্য সুতরাং যা করার আজই করে নিন। -[ইমাম আল-হাসান আল-বাসরী (রহ)] বিস্তারিত


৪০/ তাওহীদ হলো সমস্ত দোয়া, সমস্ত কান্নাকাটি, সাহায্য চেয়ে সমস্ত আবেদন, সমস্ত আশা এবং সকল কল্যাণের আগমন ও সকল ক্ষতি নিবারণের জন্য প্রার্থনা অন্য কেউ নয় বরং কেবলই আল্লাহর উদ্দেশ্যে হতে হবে। - [ইমাম মুহাম্মাদ আলী আশ-শাওকানী (আল দূর আল-নাদিদ)] বিস্তারিত


৪১/ এখনকার তরুণদের সমস্যা হলো, তারা যখনই নতুন কিছু শিখে তখনই মনে করে তারা সব জেনে ফেলেছে।” - [মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দিন আল-আলবানি (রাহিমাহুল্লাহ)(সিলসিলাত-উল-হুদা ওয়ান-নূর, পৃ ৮৬১)] বিস্তারিত


৪২/ আপনি যেদিন উপলব্ধি করবেন ইসলামের জন্য কী বিশাল পরিমাণ কাজ করা প্রয়োজন অথচ হাতে কতটা কম সময় রয়েছে, সেদিন বুঝতে পারবেন ছুটির দিন কাটানোর মতো কোন সময় নেই। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত


৪৩/ নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি একাই একটি শহর দখল করে ফেলে তার চেয়েও শক্তিশালী সেই ব্যক্তি যে নিজের কামনাকে জয় করে। - [সুলাইমান বিন দাউদ (হিলইয়াহ আল-আউলিয়া, ৬/১৭০৭)] বিস্তারিত


৪৪/ যে স্থানে থাকা আল্লাহ নিষিদ্ধ করেছেন সেখানে আপনার উপস্থিতি এবং যেখানে থাকতে আল্লাহ আদেশ করেছেন সেখানে আপনার অনুপস্থিতির ব্যাপারে সাবধান হোন। -[আবু হাজিম (আল-হিলইয়াহ, ৩/২৩৪)] বিস্তারিত


৪৫/ তাঁর (আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার) পক্ষ থেকে আসা প্রতিটি শাস্তিই সম্পূর্ণরূপে ন্যায়বিচার এবং তাঁর পক্ষ থেকে আসা প্রতিটি কল্যাণ পরিপূর্ণভাবে তার দয়া (রাহমাত)। - [ইমাম ইবনে তাইমিয়া (মাজমু’ ফাতাওয়া, ১০/৮৫)] বিস্তারিত


৪৬/ কোন কিছুকে সংশোধন করতে আমার এত বেশি সংগ্রাম করতে হয়নি, আমার আত্মাকে বশ করতে আমার যত বেশি কঠিন লেগেছে ; কখনো আমি জয়ী হই, কখনো হই পরাজিত। - [ইমাম সুফিয়ান আস-সাওরি (বায়োগ্রাফি অফ সুফিয়ান আস-সাওরি : সালাহউদ্দিন ইবন আলী ইবনে আবদুল-মাউজুদ, পৃ ৮৬)] বিস্তারিত


৪৭/ নিশ্চয়ই একজন লোকের কোন কাজ ছাড়া অযথা বসে থাকা দেখতে আমি ঘৃণা করি, যখন সে দুনিয়ার জীবনের জন্য কোন কাজ করছে না, এমনকি আখিরাতের জন্যও কিছু করছে না। - [আবদুল্লাহ ইবনে মাস’উদ (রাদিয়াল্লাহু আনহু)] বিস্তারিত


৪৮/ আজ আপনি যে ছেলে/মেয়েটার সাথে হারাম সম্পর্কে লিপ্ত আছেন বিচারদিবসে সে-ই আপনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে। -  [ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত


৪৯/ কেউ আপনার থেকে দূরে চলে যাওয়াতে অধিক চিন্তিত হবেন না। কারণ তা আল্লাহরই পরিকল্পনা ছিল। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত


৫০/ ভালোবাসা ও দয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর বিষয়। আর তা বিবাহিত জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে খুব ফুটে উঠে। তারা একে অপরকে ভালোবাসে, দয়া করে এবং নিরাপত্তা দেয়। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত


৫১/ মুসলিম হওয়া মানে আপনার কোন সমস্যা থাকবেনা এমনটা নয়। তবে আপনার সাথে থাকবে সকল সমস্যার সমাধান দেওয়ার একমাত্র উৎস আল্লাহ্ সুবাহানহুয়া তা'আলা। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত


৫২/ দুঃখজনক কোন বিষয়ে আমাদেরকে সহজে মানিয়ে নিতে বিষয়টিকে এমনভাবে গ্রহণ করতে হবে যে, আল্লাহ্ তা'আলা আমাকে মানসিকভাবে দৃঢ় করতেই এমনটা করেছেন। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত


৫৩/ আজ আপনি যে ছেলে/মেয়েটার সাথে হারাম সম্পর্কে লিপ্ত আছেন বিচারদিবসে সে-ই আপনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত


৫৪/ কেউ আপনার থেকে দূরে চলে যাওয়াতে অধিক চিন্তিত হবেন না। কারণ তা আল্লাহরই পরিকল্পনা ছিল। -  [ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত


৫৫/ ভালোবাসা ও দয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর বিষয়। আর তা বিবাহিত জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে খুব ফুটে উঠে। তারা একে অপরকে ভালোবাসে, দয়া করে এবং নিরাপত্তা দেয়। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত


৫৬/ একজন মুসলিম স্বামীর প্রথম কর্তব্য হলো তার স্ত্রীকে ইসলামিক পথের নির্দেশনা দেয়া। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত


৫৭/ আপনি যদি চান আল্লাহ্ আপনার সবগুলো পছন্দনীয় কাজ গ্রহণ করুন, তাহলে আপনি আল্লাহর পছন্দনীয় কাজগুলোই করতে থাকুন। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত


৫৮/ দ্বীন ও দুনিয়া একসাথে অর্জন করতে কুরআন ও সুন্নাহ্ ব্যতীত অন্য কোন পথ নেই। যদিও মনে হবে দুনিয়া অপূর্ণই থেকে যাচ্ছে। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত


৫৯/ অন্যকে দাওয়াত দিতে গিয়ে নিজেকে ভুলে যাবেন না। কারণ পরিবর্তন নিজেকে দিয়েই শুরু করতে হয়। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত


৬০/ আমরা যা শিখছি তা যদি আমাদের বিশ্বাসের উপর কোন প্রভাব ফেলতে না পারে, আমাদেরকে আল্লাহর কাছাকাছি নিয়ে যেতে না পারে, আমাদের বিশ্বাসকে আরো মজবুত করতে না পারে, তাহলে এর অর্থ হচ্ছে আমাদের উদ্দেশ্যে কিংবা নিয়্যাতে ভুল আছে। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত


৬১/ আমরা কখনোই এতোটা ব্যস্ত নই যে আমাদেরকে সালাত ছেড়ে দিতে হবে। এটা কেবল আমদের গুরুত্বের উপর নির্ভর করে।  - [ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত

৬২/ আমাদের কাজগুলোর মধ্যে ভালো কাজের আদেশ ও মন্দ কাজের নিষেধগুলোই উত্তম ও প্রশংসাযোগ্য।  - [ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত


৬৩/ স্বচ্ছ হৃদয় হচ্ছে অন্যকে ক্ষমা করতে পারা হৃদয়। তাই অন্যকে ক্ষমা করুন এবং কারো ক্ষতি করার ইচ্ছা পরিহার করুন। আর তা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করুন। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত


৬৪/ আপনার বন্ধুরাই কিন্তু আপনার জানাজার সালাতে প্রথম কাতারে দাঁড়াবে। তাই এখন থেকেই বন্ধু নির্বাচনে সতর্ক হোন। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত


৬৫/ অন্যের সম্পদের প্রতি কখনো লোভ করতে যাবেন না। হয়তো এটা তার জন্য পরীক্ষা। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত


৬৬/ সৌভাগ্যবান বাবা-মা তারাই যাদের অনুপস্থিতিতেও তাদের জন্য সন্তানেরা দু'আ করে। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত


৬৭/ আপনার দুর্বলতাকে শক্তিতে পরিণত করার ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহ্ তা'আলা-ই রাখেন। তাই তাঁর কাছেই প্রার্থনা করুন। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত


৬৮/ আপনি যদি আজ থেকেও চিন্তা করেন যে আপনার সকল কর্ম আল্লাহ্ তা'আলা দেখছেন, তবে দেখবেন আপনার জীবনে একটু একটু করে হলেও অনেক উন্নতি হচ্ছে। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত


৬৯/ একাকীত্ব সবসময়ই একটু বিরক্তিকর মনে হয়। তবে যে তাঁর প্রভুর (আল্লাহর) আনুগত্য করে সে কখনো একাকীত্ব অনুভব করে না। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত


৭০/ আল্লাহর দয়া নিয়ে কখনোই সন্দেহ প্রকাশ করবেন না। তিনি এক নিমিষেই যেকোন বিপদ থেকে আমাদেরকে মুক্তি দিতে পারেন। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত


৭১/ আপনার জন্য সবচেয়ে উত্তম স্থান হলো কারো দোয়ায় আপনি উপস্থিত থাকতে পারা। কারণ সে আপনার ব্যাপারে আল্লাহর সাথে কথা বলছে, আর আল্লাহ্ হলো সর্বোত্তম শ্রবণকারী। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত


৭২/ সফল লোকদের ঠোটে যে দুটি জিনিস সবসময়ই থাকে তা হলো- হাসি ও নীরবতা। কারণ এক টুকরো হাসি অনেক সমস্যার সমাধান করে দেয়, আবার একটু নীরবতা অনেক সমস্যা থেকে বাঁচিয়ে দেয়। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত


৭৩/ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করতে গিয়ে আমরা কখনোই দরিদ্র হয়ে যাবো না। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিতবিস্তারিত


৭৪/ যেখানে আল্লাহ্ তা'আলা থামিয়ে দিয়েছেন সেখানে কারো প্রশ্ন থাকা উচিত নয়। আর এটাই আনুগত্য। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত

৭৫/ আল্লাহর দ্বীন মেনে চলার মধ্যেই আল্লাহর প্রতি আপনার ভালোবাসা প্রমাণ হবে। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত


৭৬/ সে কিছুই হারায়নি যে তার সবকিছু আল্লাহর কাছে সমর্পণ করেছে। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত


৭৭/ কি চমৎকার একটি সম্পর্ক- আমরা আল্লাহ্ তা'আলা কে স্মরণ করলে তিনিও আমাদের স্মরণ করেন। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স]  বিস্তারিত

৭৮/ আল্লাহ্ সুবাহানহুয়া তা'আলার বিশেষ একটি নিয়ামত হচ্ছে- মাঝেমাঝে তিনি আমাদেরকে এমন পরিস্থিতিতে ফেলেন যা আমাদেরকে তাঁর নিকটবর্তী করে দেয়। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত

৭৯/ জীবনটা একটি যুদ্ধক্ষেত্র, যেখানে জান্নাত অর্জন করাই মূল লক্ষ্য। তাই আপনার চিরশত্রু শয়তানের বিরুদ্ধে অবিরাম লড়াই করে চলুন। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত

৮০/ আল্লাহ্ সুবাহানহুয়া তা'আলার সাহায্য সবসময়ই আমাদের সাথে ছিল, আছে এবং থাকবে। প্রয়োজন শুধু চেয়ে নেয়ার যোগ্যতা অর্জন করা। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স] বিস্তারিত


৮১/ যে কথা ভেবে আমার অন্তর প্রশান্ত হয়, তা হলো আমার জন্য যা নির্ধারিত আছে তা কখনো আমাকে ছেড়ে যাবে না এবং যা কিছু আমার পাওয়া হয়না তা কখনো আমার জন্য নির্ধারিত ছিলো না। - [ইমাম শাফিঈ (রহ)] বিস্তারিত


৮২/ মরীচিকা পৃথিবী, মিছে সব মায়া। কেউ কাউকে মনে রাখে না। মনে রাখে ততক্ষণ যতক্ষণ প্রয়োজন। কবরে রেখে আসার পর সবাই ধীরে ধীরে ভুলে যায়। - [শাহাদাৎ হুসাইন খান ফয়সাল (রহ.)] বিস্তারিত


৮৩/ তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম যে কুরআন শিখে এবং শিক্ষা দেয়। - [মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বিস্তারিত


৮৪/ মুনাফিকের কথা তার কাজের উল্টো, আর তার গোপনীয়তা তার প্রকাশের বিপরীত। - [ইমাম ইবনে জারীর (রহ:)] বিস্তারিত


৮৫/ সব দুঃখের মূল এই দুনিয়ার প্রতি অত্যাধিক আকর্ষণ। – [হযরত আলী (রাঃ)] বিস্তারিত


৮৬/ নারী যে বয়সেরই হোক, সে পছন্দ করে তার সাথে শিশু সুলভ আচরণ করা হোক। — [ড. আয়েয আল ক্বারনী] বিস্তারিত


৮৭/ ভালো কথা বলো, নয়তো চুপ থাকো। -[মুহাম্মাদ (সা)] বিস্তারিত


৮৮/ যে গীবাত করলো সে যেন মৃত ভাইয়ের গোশত খেলো। -[মুহাম্মদ (সা)] বিস্তারিত



৮৯/ আপনি যদি ন্যায় বিচারে বিশ্বাসী হোন, তাহলে আপনাকে অবশ্যই আখিরাতকে বিশ্বাস করতে হবে। কারণ, কেবলমাত্র এই দুনিয়াটা ন্যায় বিচারের ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়। - [উস্তাদ নোমান আলী খান] বিস্তারিতবিস্তারিত



৯০/ তোমাদের যত বড় বড় পিএইচডি ডিগ্রি আর সার্টিফিকেট থাকুক না কেন, যদি আল্লাহ্ ও তার রাসুলের(সাঃ) সাথে তোমাদের সম্পর্ক না থাকে তাহলে তোমরা মূর্খ, মূর্খ। - [ভাষাবিদ ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ] বিস্তারিত



৯১/ নামাজ পড়, রোজা রাখ, কলমা পড় ভাই,তোর আখেরের কাজ করে নে সময় যে আর নাই। -[কবি কাজী নজরুল ইসলাম] বিস্তারিত



৯২/ ধৈর্য্য এমন একটি জিনিস যার সারা শরীরে কাঁটা কিন্তু তার ফলটা খুব মিষ্টি। -[সংগৃহীত] বিস্তারিত



৯৩/ তিন জিনিসের ভরসা দাও ছাড়ি - নদীর তীরে বাড়ি, ব্রেক ছাড়া গাড়ি, পর্দা ছাড়া নারী। -[সংগৃহীত] বিস্তারিত



৯৪/ মানুষের কিসের এতো অহংকার যার জন্ম এক ফোঁটা রক্তে, আর শেষ মৃত্তিকায়।  -[সংগৃহীত] বিস্তারিত



৯৫/ ভূমিকম্প কিংবা ঘূর্ণিঝড়কে ভয় না পেয়ে এদের স্রষ্টাকে ভয় করো। -[সংগৃহীত] বিস্তারিত



৯৬/ তুমি রাস্ত পারি দিবে গাড়ি দিয়ে, নদী পারি দিবে নৌকা দিয়ে, আকাশ পারি দিবে বিমান দিয়ে; একবারও কি ভেবে দেখেছো পুলসিরাত পারি দিবে কি দিয়ে। -[সংগৃহীত] বিস্তারিত



৯৭/ যেকোন পরিস্থিতিতে সত্যকে মেনে নেয়ার মানসিকতা থাকাই প্রকৃত বীরের বৈশিষ্ট্য। -[সংগৃহীত] বিস্তারিত



৯৮/ মৃত্যুকে ভয় পাওয়া মানে তাকে ভুলে থাকা নয়, বরং এর জন্য প্রস্তুতি নেয়। -[সংগৃহীত] বিস্তারিত



৯৯/ একজন হিজাবী নারী ঝিনুকের ভিতরে লুকায়িত মুক্তোর ন্যায়। -[সংগৃহীত] বিস্তারিত



১০০/ রাত পোহাবার কতো দেরি, পাঞ্জেরী? -[কবি ফররুখ আহমদ] বিস্তারিত

 

নেককার স্ত্রী পাওয়ার উপায় কী?

 


অনেকে বলে, "ভাই! নেককার স্ত্রী পাওয়ার উপায় কী?" আমি মজা করে বলি, "এক হাজার গুটির একটি তাসবীহ নিয়ে জঙ্গলে চলে যান। এরপর ‘ইয়া ভালো বউ’ বলে জপতে থাকুন। প্রতিদিন আমল করে যাবেন।" এই কথা শুনে লোকেরা হাসে।


আরো জানতে ক্লিক করুন


আসলে, নেককার স্ত্রী পাওয়া বা না পাওয়া দুটোই তাকদিরের বিষয়। আল্লাহ যা নির্ধারণ করেছেন, সেটাই হবে। পুরো দুনিয়া মিলে এই সিদ্ধান্ত পাল্টানো সম্ভব নয়। অনেক সময় বিয়ের আসর থেকেই বিয়ে ভেঙে যায়। তাই বিয়ে ঠিক হলেই যে কেল্লাফতে, এটা বলা সম্ভব নয়। কেবল আল্লাহর ইচ্ছায়ই হবে। আল্লাহ চাইলে আমরা নেককার স্ত্রী পাব; অন্যথায় কিছুই হবে না।


দ্বিতীয়ত, আমাদের দুআ করতে হবে। যদি স্ত্রী বদকার হয়, তাহলে একজন দ্বীনদার স্বামীর জন্য এটি জীবনের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া কঠিন। তাই দুআ ছাড়া উপায় নেই। বিয়ের আগে দিনরাত দুআ করুন। ফরজ নামাজের পর, সূর্য ডোবার আগে, ইকামতের আগে, শেষ রাতে — এই মুহূর্তগুলোকে অবহেলা করবেন না। আপনাকেই সতর্ক হতে হবে। সবকিছুর ওপর আল্লাহর ফয়সালার ওপর নির্ভর করে। তাই বারবার তাঁর কাছে ধর্না দিন। তাঁকে আপনার মনের কথা খুলে বলুন। তিনি সব জানেন, কিন্তু চান আমরা যেন দুআ করি। এতে তিনি খুশি হন।


বিসিএস পাওয়ার জন্য কত মানুষ পরিশ্রম করে, নিজের সুখকে ত্যাগ করে। একজন দ্বীনদার স্ত্রী কি বিসিএস-এর চেয়ে দামি নয়? অবশ্যই। নেককার স্ত্রী হলো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ। এই সম্পদ বিনা পরিশ্রমে পাওয়া যায় না।

স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসা নিয়ে ইসলামিক পিকচার

পরিশ্রম করুন, কিন্তু হাড়ভাঙা খাটুনির প্রয়োজন নেই। ইবাদতের মাত্রা বাড়ান। আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করুন। সময় পেলেই গোপনে কেঁদে উঠুন। মহান প্রভুর কাছে ভিক্ষা চাইবেন। নাছোড়বান্দা শিশুর মতো চাইতেই থাকুন। আপনি ক্লান্ত হয়ে যেতে পারেন, কিন্তু যিনি দেন, তিনি কখনো ক্লান্ত হন না। তাঁর দয়া অসীম। তাই চাইতেই থাকুন। হাল ছেড়ে দেবেন না।


আপনি যেভাবে বিশ্বাস করবেন, আল্লাহকে ঠিক সেভাবেই পাবেন। তাই আল্লাহর ওপর দৃঢ় বিশ্বাস রাখুন এবং দুআ চালিয়ে যান। আল্লাহ হয়তো আপনার দিকে রহমত ঢেলে দেবেন। এই আশায় বুক বাঁধুন। 


একটি দুআ নিয়মিত পড়ুন, যা আল্লাহ আমাদের শিখিয়েছেন:


رَبَّنَا هَبۡ لَنَا مِنۡ اَزۡوَاجِنَا وَ ذُرِّیّٰتِنَا قُرَّۃَ اَعۡیُنٍ وَّ اجۡعَلۡنَا لِلۡمُتَّقِیۡنَ اِمَامًا


“হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে এমন স্ত্রী ও সন্তানাদি দান করুন যারা আমাদের চক্ষু শীতল করবে। আর আপনি আমাদেরকে মুত্তাকিদের ইমাম বানিয়ে দিন।” (সূরা ফুরকান : ২৫/৭৪)


লিখেছেন: রফিকুল ইসলাম সিলেটি 

ইসলামের অর্থ হলো আত্মসমর্পণ

 


ইসলামের সাথে স্বাধীনতার সম্পর্কটি বেশ জটিল। এই লেখাটি লেখার আগে আমি অন্তত চার রাত ভাবলাম। দুবার লিখেছি, মুছে আবার লিখছি।


ইসলাম মানে আত্মসমর্পণ


টেকনিক্যালি, ইসলাম মানুষের ব্যক্তিস্বাধীনতা কেড়ে নেয় এবং তাকে আল্লাহর হুকুম ও ইচ্ছার দাসে পরিণত করে। 


এতে সে স্বাধীন থাকে না; বরং আল্লাহর ওপর ভরসা করে, যা তাওয়াক্কুল নামে পরিচিত। 


এছাড়া, সে আল্লাহর বান্দাদের ওপরও নির্ভরশীল হয়।


ছোটবেলায় মা তাকে দুধ খাওয়ায়। বড় হয়ে, মার পাশে দাঁড়িয়ে দুধ খাওয়ানো ইসলামিক শিক্ষা। 

                                          

                                        মানুষকে কীভাবে সংশোধন করা যায়?


আমি আমার স্ত্রীর ভরণ-পোষণ দেব, সে আমাকে সন্তান দেবে, সন্তানকে লালন-পালন করব। 


মৃত্যুর পর, চারজনের কাঁধে চড়ে ঘর থেকে বের হয়ে কবরে যেতে হবে — অন্যদের ওপর এটি ওয়াজিব।


ভোগবাদী সমাজ আমাদের টক্সিক ইনডিপেনডেন্স শিখিয়ে মানুষকে সামাজিক থেকে অসামাজিক প্রাণীতে পরিণত করেছে। 


     রিযকের পরিমাণ পূর্বনির্ধারিত এবং এটি আল্লাহর দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত।


ফলে আধুনিক অমুসলিমরা নিজেদের স্বাধীন ভাবতে গিয়ে একাকী, অসুখী জীবনযাপন করছে, যা তাদের মানবিক পরিচয়কে মুছে দিয়েছে।


ইসলাম সামাজিক গিভ এন্ড টেককে এত সুন্দরভাবে গঠিত করেছে যে মুগ্ধ হতে হয়। 


পারসোনাল ফ্রিডমকে 'ইলাহ' বানানো পশ্চিমা সমাজগুলো আস্তে আস্তে ফেইল করছে, কারণ তারা সেই সামাজিক কাঠামো নষ্ট করছে।


কিন্তু একটি বিষয় বেশ বিভ্রান্তিকর — কেন মানুষ এত স্বাধীনতা চায়? 


কেন সে নিয়ম মানতে চায় না? 


কেন সে স্বেচ্ছাচারিতা চায়, যা খুশি তাই করতে? 


কারণ আল্লাহ মানুষকে এভাবেই তৈরি করেছেন। স্বাধীনতা মানুষের ফিতরাত। আল্লাহ যে ফ্রি উইল দিয়েছেন, মানুষ সেটিকে পরাধীনতা হিসেবে গ্রহণ করবে না।

                                                       বেকার স্ত্রী ও আদর্শ পরিবার।

কিন্তু মানুষ বুঝতে পারে না — কখন সে সত্যিকার অর্থে স্বাধীন হবে!


এই নশ্বর দুনিয়ায় সে অমর হতে চায়, অথচ তা সম্ভব নয়।


সে ক্যাভিয়ার, কাচ্চি কিংবা কোবে ওয়াগু বিফের স্টেক খেতে চায়, কিন্তু কয়জন তা অর্জন করতে পারে?


সে আকাশে লাফ দিতে চায়, কিন্তু মাধ্যাকর্ষণ তা অনুমতি দেবে না।


তাহলে যা খুশি তাই কীভাবে সম্ভব? 


আখিরাতে।


জান্নাতে যা খুশি করা যাবে। অমরত্ব এবং অসীমতা।


সূরা আত তাওবাহর ১১১ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, "আল্লাহ তো মুমিনদের কাছ থেকে তাদের জীবন ও সম্পদ কিনে নিয়েছেন। এর মূল্য হিসেবে (পরকালে) তাদের জন্য জান্নাত রয়েছে।"


পৃথিবীর স্বাধীনতা বিক্রি করে আখিরাতের স্বাধীনতা কেনা হয়, কিন্তু মানুষ এটা বোঝে না।


সত্যিকারের স্বাধীনতা পেতে চাইলে আপনাকে মুসলিম হতে হবে — বিকল্প নেই। 


লিখেছেন: রফিকুল ইসলাম সিলেটি 

Friday, November 24, 2023

হজের ফরজ কয়টি ও কী কী?

হজের ফরজ কয়টি ও কী কী?


আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সেতুবন্ধন স্থাপন হয় হজের মাধ্যমে। সামর্থ্য থাকলে হজ পালন করা ফরজ। কেউ হজ ফরজ হওয়ার পরেও আদায় না করলে, গুনাহগার হবে। আল্লাহর রসুল (সা.) হাদিসে তাকে কড়া ভাষায় ভর্ৎসনা করেছেন।

হজের ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নত—মোস্তাহাব ও তালবিয়া ইত্যাদি সংক্ষিপ্ত আকারে পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো—


হজের ফরজ তিনটি


এক. ইহরাম বাঁধা। 

দুই. আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা। 

তিন. তাওয়াফুয জিয়ারত।


হজের ওয়াজিব ছয়টি


এক. সাফা ও মারওয়া পাহাড়গুলো মধ্যে সাতবার সায়ি করা।

দুই. নির্ধারিত দিনে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত একমুহূর্তের জন্য হলেও মিনায় অবস্থান করা।

তিন. মিনায় তিন শয়তান (জামারাত) সমূহকে পাথর নিক্ষেপ করা।

চার. হজে তামাত্তু ও কিবরান কারীরা হজ সমাপনের জন্য দমে শোকর করা।

পাঁচ. ইহরাম খোলার পূর্বে মাথার চুল কাটা।

ছয়. মক্কার বাইরের লোকদের জন্য তাওয়াফে বিদা অর্থাৎ মক্কা থেকে বিদায়কালে তাওয়াফ করা।


এছাড়াও আর যে সমস্ত আমল রয়েছে, এর সবগুলো সুন্নত অথবা মোস্তাহাব।



হজের তালবিয়া


‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইক, লা—শারিকা—লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নি মাতা লাকা ওয়াল—মুল্ক, লা শারিকালাকা লাব্বাইক।’



অর্থ: হে আল্লাহ আমি হাজির! আপনার ডাকে সাড়া দিতে আমি হাজির। আপনার কোনো অংশীদার নেই। নিঃসন্দেহে সমস্ত প্রশংসা ও সম্পদরাজি আপনার এবং একচ্ছত্র আধিপত্য আপনার। আপনার কোনো অংশীদার নেই।


ইহরাম অবস্থায় যেসব কাজ নিষিদ্ধ



১. সেলাইযুক্ত যেকোনো কাপড় বা জুতা ব্যবহার, এক্ষেত্রে স্পঞ্জ স্যান্ডেলের ব্যবহার করা।

২. মস্তক ও মুখমণ্ডল (ইহরামের কাপড়সহ যেকোনো কাপড় দ্বারা) ঢাকা।

৩. পায়ের পিঠ ঢেকে যায় এমন জুতা পরা।

৪. চুলকাটা বা ছিঁড়ে ফেলা।

৫. নখকাটা।

৬. ঘ্রাণযুক্ত তৈল বা আতর লাগানো।

৭. স্ত্রীর সঙ্গে দৈহিক মিলন করা।

৮. যৌন উত্তেজনামূলক কোনো আচরণ বা কোনো কথা বলা।

৯. শিকার করা।

১০. ঝগড়া বিবাদ বা যুদ্ধ করা।

১১. চুল—দাড়িতে চিরুনি বা আঙ্গুলী চালনা করা, যাতে তা ছিঁড়ে যাওয়ার আশংকা থাকে।

১২. শরীরে সাবান লাগানো।

১৩. উকুন, ছারপোকা, মশা ও মাছিসহ কোনো জীবজন্তু হত্যা করা বা মারা।

১৪. কোনো গুনাহের কাজ করা।

Copyright @ 2013 ইসলামিক জ্ঞান.